জানালায় উকি দিতে এসে
পথ ভুলে গেছে পূর্নিমার চাঁদ
অথচ সবাই দোষ দেয়
আমিই শুধু তোমায় প্রেমে উন্মাদ!
Monthly Archives: August 2023
কবিতা কনিকা -৩৭৪
Tarzan
Shik kabab
Every building is a multi-storied located in a park of greenery. Carbon emissions will be zero. Public transport touching all main part of the city. Only ev are allowed in the road. All daily products will be online delivering at the door step
At the end of the day, a relax family time,
At the end of the week a holiday
At the end of the year, a few days away from home
At the end of the life, a recognision- he was a good man.
Ballad of a solider
Scent of a woman
Brave heart
Longest one hundred miles
Come september
Meghe dhaka tara
Children of heaven
Bicycle thief
Tare jamin par
The birds
freedom!
মন আমার বড় বিশ্বাসঘাতক
মন আমার বড় বিশ্বাসঘাতক
সহ্য করতে পারি কাহাতক?
যে আমার সব কষ্টের কারন
দেখা করা, কথা বলা বারন,
যার সাথে একেবারে ছাড়া ছাড়ি,
মন জুড়ে পদচারনা তাহারি!
অপেক্ষায় থাকে তবু এ চাতক
মন আমার বড় বিশ্বাসঘাতক!
আমার দেহে আশ্রয় করে থাকে
অথচ অবজ্ঞা করে আমাকে,
আমার চেহাড়ায় তার পরিচয়
অথচ আমারে নিয়েই নয় ছয়।
তার রুপে মন মজেছে এমন
সারাক্ষন মন কেমন কেমন,
ভাল লাগে না এ ছলা কলা নাটক
মন আমার বড় বিশ্বাসঘাতক!
ছবির মা
রমিজ দৌড়ে দৌড়ে আসে।
বাবা একজন মহিলা আমাদের কবরস্থানে বসে কাঁদছে!
কাদের অবাক হল।
“তুই কিভাবে জানলি?”
“আম পারতে গিয়েছিলাম, তখন দেখলাম!”
“জ্বীন ভুত না তো?”
“না, মানুষ। খুব সুন্দর দেখতে। চল বাবা, চল দেখে আসি।”
কাদেরকে উঠতে হল। উমা আসতে পারে? উমা ? অত দিন পরে!
ভদ্রমহিলা বের হয়ে যাচ্ছিলেন। কাদের কে দেখে থামলেন।
“উমা!
কেমন আছো?”
“আছি” একেবারেই নিরাসক্ত কন্ঠ!
“কখন এসেছ?”
“একটু আগে?”
“চল, বাসার ভিতরে চল। যা রোদ!”
“নাহ, হাতে সময় নেই, ফিরতে হবে।”
“এতদিন পর এলে..”
“এতদিন পরে মানে? আমার কি আসার কথা?”
“না মানে..”
“বাবা, উনি ছবির মা না?”
উমা এতক্ষন রমিজকে খেয়াল করে নি।
“কে ও? তোমার ছেলে?”
“হু, রমিজ, ইনি তোমার ছবির মা!”
“পাশের কবরটা কার?”
“রমিজের মায়ের। গতবছর করনায়..”
“আমার জন্য খালি রাখার কথা ছিল!”
“আসলে, আসলে তুমিতো কোন যোগাযোগ রাখ নি। আর কখোনো আসতে পার, তাও ভাবি নি!”
একবছরের ছেলেটাকে কবর দেয়ার পর মাত্র ছয়মাস ওদের সম্পর্কটা টিকে ছিল।ছেলের মৃত্যুর জন্য কাদেরকেই দায়ী ভাবত। এখন আর এভাবে ভাবে না, একে ভবিতব্য বলেই মেনে নিয়েছে!
এতদিন পর দেশে ফিরে ছেলের কবরটা স্পর্শ করতে এসেছিল। পাশের জায়গাটা খালি থাকা না থাকায় কিছু যায় আসে না তবু মন বিক্ষিপ্ত হয়।
মনের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে আরো বেশী দিশেহারা হয়ে পড়ে।
“প্লিজ বাড়িতে চল। দশটা মিনিট বসে যাও।”
একটু সময় ধরে ভাবে।
“চল”।
উমা ওদের পিছু পিছু হাটতে থাকে। রমিজের মাথায়ও কোকড়া চুল শোভনের মত। চেহাড়াতেও মিল আছে। খুব ইচ্ছা হল চুলের মধ্যে একবার হাত বুলায়।
বাড়ান্দার সামনে ওর লাগানো লেবু গাছটা অনেক বড় হয়েছে। পনেরো বছর অনেকটা সময়।
বারান্দাতেই চেয়ার টেনে বসলো।
রমিজ ওনাকে একটু শরবত বানিয়ে দাও। ফ্রিজে লেবু কাটা আছে।
দেয়ালে চোখ গেল। দুটো ছবি টাঙ্গানো।
একটাতে ওর কোলে শোভন,পাশে কাদের। আরেকটাতে একই ভঙ্গিমায় কাদেরের সাথে বাচ্চা কোলে এক ভদ্র মহিলা।
“ওই সোমা।” কাদের ছবির দিকে তাকিয়ে বলে।
“আমার ছবি রেখেছ কেন?” ওর গলার ঝাজ কাদেরও টের পেল।
“বাচ্চাটার এই একটা ছবিই আমার কাছে আছে। সব তুমি নিয়ে গেছ!”
“আমাকে কেটে বাদ দিতে পারতে!”
“আমাদের তো একটা অতীত ছিল, থাকলো তার একটা সাক্ষী!”
এসময় বাচ্চাটা সরবত বানিয়ে এনেছে। এবার আর মাথায় হাত বুলানোর ইচ্ছাটা আটকাতে পারলো না।
“শুধুই শরবত, একটু বিস্কুট দিতা..”
“না, লাগবে না।”
“তুমি ফ্রান্সেই আছো? “
“না, স্পেনে। আমি তো ফ্রান্সে কখনও ছিলাম না।”
“ও”
“বাবু তুমি কোন ক্লাসে পড়?”
“আমি রমিজ, ক্লাস সিক্স!”
হঠাৎ মনে পড়লো হাত ব্যাগে কয়কটা চকলেট আছে। বের করে ওর হাতে দিল।
বাচ্চাটা একটা লাজুক হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে নিল।
“আমি উঠি। একজনের গাড়ি ধার করে এসেছি।”
“থাকো না, খেয়ে যেও।”
“থাকো না, মা!”
দরজার দিকে পা বাড়িয়েও থমকে দাড়ালো।
কিন্তু তা এক মুহুর্ত্বের জন্য।
“না বাবা, আমার হাতে সময় নেই।”
কাদের ওকে চেনে, ওর না মানে না। তাই আর কথা বাড়ালো না।
“থাকো না, মা, বুয়া আজকে ঝাল করে মুরগী রান্না করেছে!”
মা ডাক শুনলে কেমন দুর্বল লাগে।
“বাবা, ছবির মাকে বল না!”
কাদের রমিজের হাত ধরলো।
উমার কেন যেন মনে হল, আরেকবার ডাকলে ও থাকবে।
শেষবার যেবার চলে গিয়েছিল সেবারও মনে হয়েছিল!
কাদের ডাকে নি।হয়ত ডাকলেও..
চোখে চোখে জল(একটি গজল)
চোখে চোখে জল জমেছে
জল জমেছে মনে।
যতই তুমি চোখ মোছো
অতি সঙ্গোপনে,
চোখে চোখে জল জমেছে
জল জমেছে মনে।
যে দেখার সে ঠিকই দেখে
আনত নয়নে।
চোখে চোখে জল জমেছে
জল জমেছে মনে
যে দেখে না সে বোঝেও না
শত আয়োজনে।
চোখে চোখে জল জমেছে
জল জমেছে মনে।
এমন কাওকে ভালবাস
যে দেয় জলের দাম
নয়ত তোমার জীবন হবে
একটা জাহান্নাম।
মন খারাপে বুকে জড়িয়ে
কষ্টের কথা শোনে
মন দিলে মন দিও তুমি
এমন কোন জনে।
চোখে চোখে জল জমেছে
জল জমেছে মনে।
আমি সে ও সখা
এক শুভানুধ্যায়ী বলল,আরে মিঞা
সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়া
দেখেন না, ধৈর্য ধরেন কিছু দিন।
ফোন না, ম্যাসেজ না একেবারে যোগাযোগ হীন!
পাগলের মত ছুটে আসবে!
সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসবে।
মেয়েরা অবহেলা সহ্য করতে পারে না।
তখন আইন কানুন কিছুর ধার ধারে না।
দেখেন না মিঞা কয়েকটা দিনই তো
পারবেন না? তার আহ্বান বড় বিনীত!
ফেসবুকে ব্লক দিলাম। মেসেন্জারও বন্ধ।
ফোন নম্বর মুছলাম লাগুক যতই মন্দ।
অপেক্ষায় একেকটা দিন যায়
মন যোগাযোগ তো করতেই চায়,
করি না। ধৈর্য ধরি দেখা যাক
আরেকটু,এই বুঝি শুনি ডাক!
ছয় মাস যায় সাড়া শব্দ নাই,
ফোন করতে গিয়ে,ফিরে ফিরে যাই।
দেখি না, শেষতক কি হয়,
তার জিত হবে,না আমার জয়!
মন থাকা নম্বরে ফোন করে আংগুল
ফোন ধরে ভাব করে চেনেনি আমায় বিলকুল।
পরিচয় দিলে তখন সে মুখ খোলে,
আমিতো ভেবেছি পরপারে গেছ চলে।
যাক তুমি আমার কাছে মৃত,
পূরানো সম্পর্কটা আর করো না জীবিত।
সব মেয়ের মন একরকম তারটাই ভিন্ন
কপালে আমার লেখা নাই তাকে পাবার চিহ্ন।
রাগে দুঃখে শুভানুধ্যায়ীকে দিলাম ফোন
সেও দেখি ধরে না আমার ফোন এখন।
বান্ধবী হারালামই, হারালাম শুভানুধ্যায়ী
আমার এ অবস্থার জন্য হয়ত আমিই দায়ী।
একা থাকাই ভাগ্য লেখা একাকীত্বই স্থায়ী
মদের গ্লাস নিয়ে বসলো এক স্তন্যপায়ী।
হে হৃদয়হীন, মন ভেঙেছ, করেছ মাতাল
অনন্তকাল বরাদ্ধ হোক নরকের চাতাল!
সেই খানে গিয়ে যদি আমার কথা ভাব
আমি কিন্তু ঠিকই খবর পাব
তোমার সাথে পুড়তে রাজি অনন্ত নরকে
বলতো প্রেমিক হিসাবে আমার চে বড়কে?
পর পুরুষ, আপন পুরুষ
অচেনা যে পুরুষ সে পর পুরুষ নিশ্চয়
কাছের কেউ পর হয়ে গেলে কি পর পুরুষ হয়?
ঘর আলাদা হলে,তারপর?
আর আপন পুরুষ কে, বর?
মনের মিল নেই,কাগজে দেহের মালিকানা!
বাড়িয়ে দেয়া হাত ধরতে মানা
আর যে মুখ ঘুরিয়ে রাখে
জড়িয়ে রাখ তাকে!
প্রেম যদি স্বর্গ হতে আসে
মন যাকে ভালবাসে
আসলে সেই আপন।
সে নয় যাকে নিয়ে কষ্টযাপন,
যাকে সহ্য করাই কঠিন
তাকে নিয়ে কাটানো প্রতিটি দিন
জীবন নয়,
সে ই পর পুরুষ!সে আপন কি করে হয়?
যে শোনে সে শোনে
নক্ষত্রদের পুড়তে দেখি,
আর্তনাদ রেখে মনে মনে
মহাশূন্যে সে খসে যায়।
যে শোনে সে শোনে।
আমার হাসিতে উৎসবে,
অথচ মনের গহনে
যে কান্না মিশে থাকে,
যে শোনে সে শোনে।
নক্ষত্রের এপিটাফ, আমার কবিতা
লেখা নেই কোন কোনে,
অভিযোগে কারো নাম তবু
যে শোনে সে শোনে!
পদবীতে তুমি আমার না
নিছক পদবীতে তুমি আমার না,
আর কিছু দলিলে-দস্তাবেজে,
অথচ এসবই পরিবর্তন করা যায়
একটু ঘষে মেজে!
যেখানে প্রতি নিশ্বাস
একবার করে মনে করায়,
এটাই সত্য,একমাত্র সত্য
আর কিছু নেই এই ধরায়!
নিছক পদবীতে তুমি আমার না,
আর কিছু লৌকিক সম্পর্কে
তুমি আমার,আমার, আমার
সব যুক্তিতে, সব তর্কে!