সুশান্তের পাঠানো চিঠিটার খামে
লেখা অন্যের নাম বড় করে,বামে।
প্রতিটা শব্দের উপর হাত বুলায়।
ওর স্পর্শ আছে, বর্নে বর্নে, ধুলায়,
এমনিতে তো স্পর্শ করার উপায় নাই
এক শহরেই থাকে, লুকায় ছুপায় নাই।
বর্নগুলো কি নরম, কি তুলতুলে
ইচ্ছা করে পড়ে দেখে খাম খুলে।
কিন্তু না,অন্যের চিঠি কি পড়া যায়!
নিয়োমের কাছে শুচিস্মিতা নিরুপায়।
এখন সে কি আর কবিতা লেখে না?
মানুষ অভিজ্ঞতায় শেখে, শেখে না?
বুঝে গেছে হয়ত যত কবিতাই লিখুক
যত হা-হুতাস, কেদে ভাসাক বুক
শুচিস্মিতা তার হিসাবী জীবন ছেড়ে
তার কাছে ফিরবে না, কেই বা ফেরে?
দীর্ঘ শ্বাষ চাপতে চাপতে বের হয়ে যায়
সবকিছু বদলায় মানুষও তো বদলায়।
সব ছেড়ে ছুড়ে সে কি পারে না,
সিনেমায় হয়। বাস্তবে, আরে না।
শব্দ শুনে রেখে দেয় টেবিলের ‘পরে
চোখের কোনে জল চিকচিক করে।
শুচিস্মিতা নট ফর সুশান্ত
ও এটা অনেক আগে থেকেই জানতো।